রাজশাহী মহানগরীর অন্যতম বিনোদন কেন্দ্র পদ্মা গার্ডেন এবং এর আশেপাশের এলাকাগুলো স্কুল-কলেজের ক্লাস চলাকালীন সময়ে শিক্ষার্থীদের আড্ডার কেন্দ্রে পরিণত হয়েছে। রাজশাহীর বিভিন্ন স্বনামধন্য স্কুুল ও কলেজের শিক্ষার্থীরা ক্লাস ফাঁকি দিয়ে এসব স্থানে এসে আড্ডা দিচ্ছে। এ নিয়ে উদ্বিগ্ন হয়ে পড়েছেন অভিভাবক ও সচেতন মহল।
সম্প্রতি এই প্রবণতা রোধে কঠোর অবস্থান নিয়েছে রাজশাহী মহানগর থানা ও মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি)।
সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, মহানগরীর জিরো পয়েন্ট সংলগ্ন পদ্মা গার্ডেন, বড়কুঠি, লালনশাহ পার্ক, শিমলা পার্কসহ পদ্মাপাড়ের বিভিন্ন বিনোদন কেন্দ্রে সকাল থেকেই স্কুল-কলেজের ইউনিফর্ম পরা শিক্ষার্থীদের উপস্থিতি চোখে পড়ার মতো। তারা দলবেঁধে বা জুটি হয়ে দীর্ঘ সময় ধরে আড্ডায় মেতে থাকছে। স্থানীয়দের অভিযোগ, এসব শিক্ষার্থীরা কেবল ক্লাস ফাঁকি দিচ্ছে তাই নয়, অনেক সময় তারা প্রকাশ্যে ধূমপানসহ নানা আপত্তিকর কার্যকলাপেও জড়িয়ে পড়ছে।
জানতে চাইলে মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) অতিরিক্ত উপ-পুলিশ কমিশনার মোঃ নাসির ফরহাদ জানান, গত বুধবার (৬ নভেম্বর) দুপুরে পদ্মা গার্ডেন এলাকা থেকে ক্লাস ফাঁকি দিয়ে আড্ডা দেওয়ার সময় ৯ জন শিক্ষার্থীকে আটক করা হয়। এর আগের দিন, মঙ্গলবার (৫ নভেম্বর) শিমলা পার্ক থেকে আরও ১০ শিক্ষার্থীকে আটক করা হয়েছিল।
আটকের পর শিক্ষার্থীদের মহানগর ডিবি কার্যালয়ে নিয়ে যাওয়া হয় এবং তাদের অভিভাবকদের খবর দেওয়া হয়। পরবর্তীতে অভিভাবকদের উপস্থিতিতে মুচলেকা নিয়ে শিক্ষার্থীদের তাদের জিম্মায় ছেড়ে দেওয়া হয়।
তিনি আরও বলেন, নগরীর বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীরা ক্লাস ফাঁকি দিয়ে পদ্মার পাড়ের বিভিন্ন স্পটে আড্ডা দিচ্ছে এবং কিশোর অপরাধের মতো বিভিন্ন কর্মকাণ্ডে জড়িয়ে পড়ছে বলে অভিযোগ আসছিল। এসব অভিযোগের ভিত্তিতেই মূলত ডিবি ও বোয়ালিয়া মডেল থানা পুলিশের যৌথ অভিযান শুরু করা হয়। এই অভিযান অব্যাহত থাকবে বলেও জানান তিনি।
স্থানীয়রা বলছেন, শিক্ষার্থীদের ক্লাস ফাঁকি দিয়ে বিনোদন কেন্দ্রে সময় কাটানোর প্রবণতা তাদের শিক্ষাজীবনের জন্য মারাত্মক হুমকিস্বরূপ। রাজশাহী কলেজের একজন অধ্যক্ষ পূর্বে উদ্বেগ প্রকাশ করে বলেন, এই ধরনের কর্মকাণ্ড শিক্ষার্থীদের নৈতিক অবক্ষয়ের দিকে ঠেলে দিতে পারে এবং তারা পড়াশোনার মূল স্রোত থেকে বিচ্যুত হতে পারে। তিনি শিক্ষার্থীদের সঠিক পথে ফিরিয়ে আনতে অভিভাবক ও প্রশাসনের যৌথ ভ‚মিকার ওপর গুরুত্বারোপ করেন।
এ বিষয়ে একাধিক অভিভাবক তাদের সন্তানদের ভবিষ্যৎ নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন। তারা শিক্ষা প্রতিষ্ঠান কর্তৃপক্ষের আরো কঠোর নজরদারি এবং প্রশাসনের নিয়মিত তদারকির দাবি জানিয়েছেন। অভিভাবক ও রাসিক ১২ নং ওয়ার্ড সাবেক কাউন্সিলর মোঃ ইকবাল হোসেন দিলদার বলেন, আমরা ছেলে-মেয়েদের কলেজে পাঠিয়ে নিশ্চিন্তে থাকতে পারছি না। কলেজ কর্তৃপক্ষের উচিত ক্লাসে শিক্ষার্থীদের উপস্থিতি নিশ্চিত করা।
তিনি আরও বলেন, রাজশাহীর মতো শিক্ষা নগরীতে শিক্ষার্থীদের এমন আচরণ সার্বিক পরিবেশের উপর নেতিবাচক প্রভাব ফেলছে বলে মনে করছেন তিনি।
এখনই এই লাগাম টেনে না ধরলে তা সামাজিক অবক্ষয়ের কারণ হয়ে দাঁড়াতে পারে বলেও মন্তব্য করেন তিনি।
সম্প্রতি এই প্রবণতা রোধে কঠোর অবস্থান নিয়েছে রাজশাহী মহানগর থানা ও মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি)।
সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, মহানগরীর জিরো পয়েন্ট সংলগ্ন পদ্মা গার্ডেন, বড়কুঠি, লালনশাহ পার্ক, শিমলা পার্কসহ পদ্মাপাড়ের বিভিন্ন বিনোদন কেন্দ্রে সকাল থেকেই স্কুল-কলেজের ইউনিফর্ম পরা শিক্ষার্থীদের উপস্থিতি চোখে পড়ার মতো। তারা দলবেঁধে বা জুটি হয়ে দীর্ঘ সময় ধরে আড্ডায় মেতে থাকছে। স্থানীয়দের অভিযোগ, এসব শিক্ষার্থীরা কেবল ক্লাস ফাঁকি দিচ্ছে তাই নয়, অনেক সময় তারা প্রকাশ্যে ধূমপানসহ নানা আপত্তিকর কার্যকলাপেও জড়িয়ে পড়ছে।
জানতে চাইলে মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) অতিরিক্ত উপ-পুলিশ কমিশনার মোঃ নাসির ফরহাদ জানান, গত বুধবার (৬ নভেম্বর) দুপুরে পদ্মা গার্ডেন এলাকা থেকে ক্লাস ফাঁকি দিয়ে আড্ডা দেওয়ার সময় ৯ জন শিক্ষার্থীকে আটক করা হয়। এর আগের দিন, মঙ্গলবার (৫ নভেম্বর) শিমলা পার্ক থেকে আরও ১০ শিক্ষার্থীকে আটক করা হয়েছিল।
আটকের পর শিক্ষার্থীদের মহানগর ডিবি কার্যালয়ে নিয়ে যাওয়া হয় এবং তাদের অভিভাবকদের খবর দেওয়া হয়। পরবর্তীতে অভিভাবকদের উপস্থিতিতে মুচলেকা নিয়ে শিক্ষার্থীদের তাদের জিম্মায় ছেড়ে দেওয়া হয়।
তিনি আরও বলেন, নগরীর বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীরা ক্লাস ফাঁকি দিয়ে পদ্মার পাড়ের বিভিন্ন স্পটে আড্ডা দিচ্ছে এবং কিশোর অপরাধের মতো বিভিন্ন কর্মকাণ্ডে জড়িয়ে পড়ছে বলে অভিযোগ আসছিল। এসব অভিযোগের ভিত্তিতেই মূলত ডিবি ও বোয়ালিয়া মডেল থানা পুলিশের যৌথ অভিযান শুরু করা হয়। এই অভিযান অব্যাহত থাকবে বলেও জানান তিনি।
স্থানীয়রা বলছেন, শিক্ষার্থীদের ক্লাস ফাঁকি দিয়ে বিনোদন কেন্দ্রে সময় কাটানোর প্রবণতা তাদের শিক্ষাজীবনের জন্য মারাত্মক হুমকিস্বরূপ। রাজশাহী কলেজের একজন অধ্যক্ষ পূর্বে উদ্বেগ প্রকাশ করে বলেন, এই ধরনের কর্মকাণ্ড শিক্ষার্থীদের নৈতিক অবক্ষয়ের দিকে ঠেলে দিতে পারে এবং তারা পড়াশোনার মূল স্রোত থেকে বিচ্যুত হতে পারে। তিনি শিক্ষার্থীদের সঠিক পথে ফিরিয়ে আনতে অভিভাবক ও প্রশাসনের যৌথ ভ‚মিকার ওপর গুরুত্বারোপ করেন।
এ বিষয়ে একাধিক অভিভাবক তাদের সন্তানদের ভবিষ্যৎ নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন। তারা শিক্ষা প্রতিষ্ঠান কর্তৃপক্ষের আরো কঠোর নজরদারি এবং প্রশাসনের নিয়মিত তদারকির দাবি জানিয়েছেন। অভিভাবক ও রাসিক ১২ নং ওয়ার্ড সাবেক কাউন্সিলর মোঃ ইকবাল হোসেন দিলদার বলেন, আমরা ছেলে-মেয়েদের কলেজে পাঠিয়ে নিশ্চিন্তে থাকতে পারছি না। কলেজ কর্তৃপক্ষের উচিত ক্লাসে শিক্ষার্থীদের উপস্থিতি নিশ্চিত করা।
তিনি আরও বলেন, রাজশাহীর মতো শিক্ষা নগরীতে শিক্ষার্থীদের এমন আচরণ সার্বিক পরিবেশের উপর নেতিবাচক প্রভাব ফেলছে বলে মনে করছেন তিনি।
এখনই এই লাগাম টেনে না ধরলে তা সামাজিক অবক্ষয়ের কারণ হয়ে দাঁড়াতে পারে বলেও মন্তব্য করেন তিনি।
নিজস্ব প্রতিবেদক